শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

বরখাস্ত সেনা সদস্যদের বিক্ষোভে উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান


চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবিতে বরখাস্ত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের বিক্ষোভে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রবিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে।

বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে আশ্বস্ত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল প্রেসক্লাবে উপস্থিত হন। তারা অত্যন্ত ধৈর্য ও আন্তরিকতার সাথে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য শোনেন এবং প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসারে তাদের দাবিদাওয়া যাচাই ও সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

প্রতিনিধি দল বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন তাদের অভিযোগ কোনো তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে না তুলে ধরে বরং সরাসরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেন।

৮০২টি আবেদন প্রক্রিয়াধীন, সেনাবাহিনীর মানবিক বিবেচনা

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এ ধরনের বরখাস্ত/অব্যাহতিপ্রাপ্ত সদস্যদের পক্ষ থেকে মোট ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬টি আবেদন ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং বাকি আবেদনসমূহ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাহিনী এসব আবেদন অত্যন্ত মানবিক ও আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করছে।

অনভিপ্রেত ঘটনার নিন্দা

তবে দুঃখজনকভাবে, শান্তিপূর্ণ আলোচনার পর ফেরার সময় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দলের গাড়ির সামনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন কিছু উশৃঙ্খল বরখাস্ত সদস্য। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও অশ্রাব্য স্লোগান দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধ্য হয়ে কিছু বিশৃঙ্খল ব্যক্তিকে ছত্রভঙ্গ করে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক আচরণ, জনস্বার্থবিরোধী কার্যক্রম বা বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা কখনোই কাম্য নয়। সেনাবাহিনী সর্বাবস্থায় সংবেদনশীলতা, সহমর্মিতা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর।

সেনাবাহিনী সবাইকে সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ জানিয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন