শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধে বড় ধরনের অগ্রগতি, শুল্ক কমাতে সম্মত দুই দেশ

বিশ্ব অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়ে চলা যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সোমবার (১২ মে) দুই দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, তারা পারস্পরিক পণ্যে আরোপিত উচ্চ শুল্ক অস্থায়ীভাবে ৯০ দিনের জন্য ব্যাপক হারে কমাতে সম্মত হয়েছে।

জেনেভায় এক ম‍্যারাথন আলোচনা শেষে এই চুক্তি হয়, যেখানে দুই দেশের কর্মকর্তারা “গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি” অর্জনের কথা জানান। এতে বলা হয়, ১৪ মে থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যে আরোপিত শুল্ক ১৪৫% থেকে কমিয়ে ৩০% এবং চীন মার্কিন পণ্যে আরোপিত শুল্ক ১২৫% থেকে ১০%-এ নামিয়ে আনবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উভয় দেশ একটি টেকসই, দীর্ঘমেয়াদি ও পারস্পরিক লাভজনক বাণিজ্য সম্পর্কের গুরুত্ব অনুধাবন করেছে। এ লক্ষ্যে তারা একটি স্থায়ী আলোচনামূলক কাঠামো গঠনে একমত হয়েছে, যা চীনের ভাইস-প্রিমিয়ার হে লিফেং, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার যৌথভাবে পরিচালনা করবেন।

এই আলোচনাগুলো পালাক্রমে চীন, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কোনো তৃতীয় দেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রয়োজনে দুই দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা কার্যতালিকা ভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।

বিশ্ববাজারে এই ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে। ডাও ফিউচারস ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ প্রায় ৩ শতাংশ এবং নাসডাক কম্পোজিট ফিউচারস ৩.৫ শতাংশের বেশি উল্লম্ফন করেছে। হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক ৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে শুরু হওয়া এই বাণিজ্যযুদ্ধ বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলা ও বিনিয়োগ পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। নতুন এই উদ্যোগ সেই উত্তেজনা কমাতে বড় ধরনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই চুক্তির ফলে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নয়, বরং গোটা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা পৌঁছেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এই আলোচনা চলমান এবং ভবিষ্যতে আরও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন