শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

মাধ্যমিকে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে প্রত্যাবর্তন, প্রাথমিকে বহাল নতুন পদ্ধতি

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাধ্যমিক স্তরে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম পুনর্বহাল করেছে বর্তমান সরকার। ফলে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পরিকল্পনা থেমে গেছে। তবে প্রাথমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম কার্যত বহাল রাখা হয়েছে এবং আগামী বছরের পাঠ্যবইও সেই অনুযায়ী প্রস্তুত করা হচ্ছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ইতোমধ্যে প্রাথমিক স্তরের বই পরিমার্জনের কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যদি নতুন স্বপ্ন দেখি, সেখানে প্রযুক্তি থাকবে, অন্তর্ভুক্তি থাকবে; সেখানে দায়, দরদ, ইনসাফ—এই শব্দগুলোর ভেতর দিয়ে একটি নতুন চিন্তার শিক্ষা কাঠামো প্রয়োজন হবে। এর জন্য আমাদের নিজেদের মধ্যে এবং অংশীজনদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।”

তিনি জানান, ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম বিশেষ পরিস্থিতিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে এবং তা আগামী বছরও বহাল থাকবে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তার দায়িত্বকালে নতুন শিক্ষাক্রমের ভিত্তি নির্মাণ করা সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ২০২৭ সাল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তাঁর মতে, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম একসঙ্গে পরিবর্তন না এনে ধাপে ধাপে পরিবর্তন করাই অধিক বাস্তবসম্মত। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই সংশোধনের কিছু কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমের অভিজ্ঞতা ও পর্যালোচনার ভিত্তিতে পাঠ্যবইগুলো উন্নয়নের কাজ চলছে।

একই সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, আগামী ১ জুলাই থেকে কলেজ পর্যায়ে শিক্ষকদের বদলি অনলাইনে শুরু করা হবে। পরবর্তীতে বিদ্যালয় পর্যায়েও একই পদ্ধতি চালু করা হবে।

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ–সুবিধার জন্য সরকার ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড এবং ২০০ কোটি টাকা নগদ বরাদ্দ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন