শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

বাড়ল অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার, লেনদেনে কর হ্রাসে স্বস্তি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারকে চাঙ্গা করতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিকিউরিটিজ লেনদেনে কর হ্রাস, মার্চেন্ট ব্যাংকের কর রেট কমানো এবং তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান বাড়ানো। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ক থাকায় আশানুরূপ সুফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার উপদেষ্টা সরকার ঘোষিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী:

  • সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর অগ্রিম আয়কর (AIT) ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০৩ শতাংশ করা হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের ওপর করের বোঝা কিছুটা কমবে।
  • মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর হার ১০ শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা খাতটির লাভজনকতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
  • তালিকাভুক্ত নয় এমন (অতালিকাভুক্ত) কোম্পানির কর হার আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব এসেছে। ফলে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৭.৫ শতাংশ, যা কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহিত করতে পারে।

তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের প্রণোদনা কাগজে-কলমে ইতিবাচক হলেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দুর্বল থাকলে বাজারে আস্থার সংকট কাটবে না। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অযোগ্য নেতৃত্বকেই তারা দায়ী করছেন বাজারে স্থবিরতা ও অনাস্থা সৃষ্টির জন্য।

একজন জ্যেষ্ঠ বিনিয়োগ বিশ্লেষক মন্তব্য করেন, “প্রণোদনা ভালো, কিন্তু বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে হলে বিএসইসির নেতৃত্বে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”

প্রসঙ্গত, চলতি বাজেটটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট। এতে শেয়ারবাজার খাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে কার্যকর মনিটরিং ও নীতিগত স্থিতিশীলতা জরুরি বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন