শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ১,২৭৮তম দিন: সংঘর্ষ ও কূটনৈতিক তৎপরতা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ১,২৭৮তম দিনে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাণহানি, বন্দি বিনিময় এবং নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।

ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণে একজন নিহত হয়েছেন। খেরসনেও গোলা ও ড্রোন হামলায় একজন প্রাণ হারান, আহত হয়েছেন আরও দু’জন। দিনিপ্রোপেত্রোভস্কে ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন এক নারী। অপরদিকে, ইউক্রেনীয় হামলায় রুশ-নিয়ন্ত্রিত খেরসনের একটি সেতু এলাকায় এক নারী ও এক শিশু মারা গেছে।

ইউক্রেনীয় সেনারা দাবি করেছে, তারা দোনেৎস্কের কয়েকটি গ্রাম থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে দিয়েছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তারা দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের ফিলিয়া গ্রাম নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

এদিকে রাশিয়া অভিযোগ করেছে, ইউক্রেন সীমান্তঘেঁষা কুর্স্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে, আশপাশের এলাকায় রেডিয়েশনের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। রাশিয়া আরও জানিয়েছে, এক রাতের অভিযানে তারা ৯৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

যুদ্ধের মধ্যেও বন্দি বিনিময় হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষই ১৪৬ জন করে যুদ্ধবন্দি মুক্ত করেছে।

কূটনৈতিক ফ্রন্টে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি কিয়েভ সফরে গিয়ে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী নয়, আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও এই নিশ্চয়তাকে শক্তিশালী করতে হবে। এ সময় তিনি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত কিথ কেলগও উপস্থিত ছিলেন এবং ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিডেনকোর সঙ্গে নিরাপত্তা ও খনিজসম্পদ বিষয়ে আলোচনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মন্তব্য করেছেন, রাশিয়া এখন আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে কিছু ছাড় দিতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেন, “কিয়েভে পুতুল সরকার বসানোর স্বপ্ন রাশিয়া ত্যাগ করেছে এবং ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার নিরাপত্তা দিতে হবে বলে স্বীকার করেছে।” রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভও জানিয়েছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনের নিরাপত্তার গ্যারান্টর হওয়া উচিত।

তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন