রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৬ জনের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত ছয়জনের মরদেহ দীর্ঘ এক বছর অজ্ঞাতনামা অবস্থায় মর্গে রাখার পর বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের জন্য আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হবে।

পুলিশ জানায়, গত এক বছরে ডিএনএ পরীক্ষা ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশ্লেষণ সত্ত্বেও নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আদালতের নির্দেশে বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এসময় মর্গে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ফারুক হোসেন, রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম, শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মুনসুর এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী গোলাম মোখলেছুর রহমান। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের পক্ষ থেকে মরদেহ গ্রহণ করেন দাফন সেবা কর্মকর্তা মো. কামরুল আহমেদ।

ডা. কাজী গোলাম মোখলেছুর জানান, ২০২৪ সালের ৭ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে এই ছয়জনের লাশ মর্গে আনা হয় এবং ময়নাতদন্ত শেষে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবু তাদের পরিচয় জানা যায়নি। এক মরদেহে গুলির চিহ্ন এবং বাকি পাঁচটিতে ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ১৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে থেকে ২০, ২২ ও ২৫ বছর বয়সী তিন যুবকের লাশ ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। একই দিনে ৩০ বছর বয়সী এক যুবক ও ৩২ বছর বয়সী এক নারীর লাশও আনা হয়, তবে তাদের মৃত্যুর স্থান জানা যায়নি। এর আগে ৭ আগস্ট গুলিস্তান থেকে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছিল।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, “লাশগুলোর আলামত সংরক্ষণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি কেউ পরিচয় শনাক্ত করে স্বজনদের সন্ধান দেয়, তবে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন