বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

বেঙ্গল বিস্কুটের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগ, দুদকে আবেদন

শত কোটি টাকার ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে দেশের শীর্ষ খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল বিস্কুট লিমিটেড এর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।

দুদকে আবেদন এর কপি

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন জমা দেন ইকবাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বেঙ্গল বিস্কুট লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট এবং ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কোম্পানির চেয়ারম্যান হাসান আহাম্মেদ এবং পরিচালক আসওয়াদের নেতৃত্বে ভুয়া মূসক চালান ব্যবহার করে শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। কোম্পানিটির দুটি মাঝারি আকারের অটোমেটিক বিস্কুট লাইন, দুটি বড় বিস্কুট লাইন, একটি ক্যান্ডি লাইন এবং একটি বেকারি বিস্কুট উৎপাদন লাইন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন প্রায় ৭০ মেট্রিক টন বিস্কুট ও ক্যান্ডি উৎপাদন করে।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বেঙ্গল বিস্কুটে প্রায় ২,২৫০ জন কর্মরত থাকলেও কাগজে-কলমে দেখানো হচ্ছে মাত্র ৭৫০ জন। এর মাধ্যমে শ্রমিকসংক্রান্ত ভাতা এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।

ভ্যাট ফাঁকির পদ্ধতি সম্পর্কে অভিযোগে বলা হয়, ভুয়া মূসক চালান তৈরি করে, রাতে ট্রাকভর্তি পণ্য বিভিন্ন বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্দেশে পাঠানো হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ১২-১৩টি ট্রাক লোড করা হয়, যাতে ভ্যাট কর্মকর্তাদের নজর এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।

অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, বেঙ্গল বিস্কুট সারা দেশে ২৬টি বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে মাসে প্রায় ২৯ থেকে ৩০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করে, এবং শুধুমাত্র ভ্যাট ফাঁকি প্রতি মাসে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া পার্টি পেমেন্টের ওপর অগ্রিম কর এবং বছরের হিসাব-নিকাশে বিপুল অঙ্কের ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগও আনা হয়েছে।

ইকবাল হোসেন দুদক চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “শুল্ক ও ভ্যাট গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে। সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে শেয়ারহোল্ডাররাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”

দুদক সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগটি প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রমাণাদির ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন