শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

আগামী ৬ মাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর এনসিটি পরিচালনায় নৌবাহিনীকে সুপারিশ সরকারের: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

ঢাকা, ২ জুলাই ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ:

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব আগামী ৬ মাসের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে প্রদানের সুপারিশ করেছে সরকার। আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

উপদেষ্টা বলেন, “গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনা নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ অপারেটর নিয়োগ করবে। সরকার মনে করছে, নৌবাহিনী আগামী ৬ মাসের জন্য এনসিটি পরিচালনায় উপযুক্ত। তবে যারা ইতোমধ্যে টার্মিনালে কাজ করছেন, তাদের চাকরিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। প্রয়োজনে নৌবাহিনী পূর্বের অভিজ্ঞ অপারেটরদের থেকেও সহযোগিতা নিতে পারবে।”

বিদেশি কোনো কোম্পানির কাছে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর করা হচ্ছে না উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে এখনো কোনো বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়নি। সরকার কখনোই দেশবিরোধী কোনো চুক্তি করবে না। দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সরকার সবসময় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের উন্নত দেশের বিভিন্ন সমুদ্রবন্দর ডিপি ওয়ার্ল্ড, এডি পোর্টসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দ্বারা দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক মানের অপারেটর নিয়োগের মাধ্যমে পণ্য খালাসের সময় কমাতে এবং বড় জাহাজ নোঙরের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে।”

এসময় উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, “দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে এনসিটি পরিচালনা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। তবে এটি সিপিএ’র (চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি) অধীনে চুক্তিভিত্তিক কার্যক্রম হবে। সার্বিক কর্তৃত্ব ও মালিকানা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকবে।”

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মানের অপারেটর নিয়োগ হলে বন্দরের সক্ষমতা ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। বর্তমানে যেখানে দৈনিক ৪,০০০-৫,০০০ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে, তা ৬,০০০ টিইইউস-এ উন্নীত হবে। এতে বন্দরে বার্ষিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন নৌ-রুট তৈরি হবে। ফলে জাহাজ ভাড়া কমে আসবে এবং দেশের বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় আরও এগিয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে বন্দরের বিদ্যমান অন্যান্য চুক্তিগুলো অপরিবর্তিত থাকবে। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান সভায় উপস্থিত ছিলেন।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন