শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ভৌগলিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন উপযোগী কিনা ভেবে দেখতে হবে : তারেক রহমান

বাংলাদেশের ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন কতটা উপযোগী, তা ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে রাজধানীর চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত “গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা” শীর্ষক আলোচনা সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংস্কার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে আরেকটি ইস্যুকে শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ করা মুক্তিকামী গণতান্ত্রিক জনগণ কামনা করে না। অন্তবর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে রাজনৈতিক দলগুলো চিন্তাভাবনা করেই প্রস্তাব দিচ্ছে। প্রত্যেকটি প্রস্তাব বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটা উপযোগী, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার।”

তিনি বলেন, “কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি বিদ্যমান। কিন্তু বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায়, ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই পদ্ধতি কতটা উপযোগী, তা সকলকে ভেবে দেখতে হবে।”

তারেক রহমান বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে এবং তাবেদারমুক্ত রাখতে হলে জনগণের ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থায় দেশে ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজন, সমাজে অস্থিতিশীলতা এবং অস্থিতিশীল সরকার তৈরি হতে পারে কিনা, তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “সংখ্যাঅনুপাতিক নির্বাচনের আড়ালে অজান্তেই দেশের রাজনীতিতে পতিত স্বৈরাচার পুনরায় ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে কিনা, তাও ভেবে দেখা জরুরি।”

তারেক রহমান বলেন, “আমি মনে করি, প্রতিদিন ষড়যন্ত্রকারীরা নতুন নতুন বিষয় সামনে আনে, যাতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়। অন্তবর্তী সরকারের পক্ষে প্রতিদিন জনগণের সব সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। জনগণের সমস্যার কথা তাদের কাছে পৌঁছানোর কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যমও নেই। সুতরাং সংস্কারের ইস্যু নিয়ে সরকারকে ব্যস্ত রাখা হলে, জনগণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে।”


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন