নির্ভুল পাঠ্যবই নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার — শিক্ষা উপদেষ্টা
- নিজস্ব সংবাদদাতা
- ৫ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাবে সংশোধিত পাঠ্যবই, চলছে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে পর্যালোচনা
ঢাকা | ২৫ জুন ২০২৫
২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে নির্ভুল ও পরিমার্জিত পাঠ্যবই পৌঁছে দিতে সরকার সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। তিনি বলেন, অতীতের ভুলভ্রান্তি যাতে আর না থাকে, সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো একযোগে কাজ করছে।
বুধবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত “শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন” শীর্ষক এক বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, ২০২৫ সালের প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকে বানান ও ব্যাকরণগত ত্রুটি, ছাপার অসঙ্গতি এবং তথ্যগত বিভ্রাট পরিলক্ষিত হয়েছে। এসব ত্রুটি দূর করতে এনসিটিবির সহায়তায় দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে পৃথক বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করে ১২৩টি পাঠ্যবই পুনঃমূল্যায়ন ও পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত যাচাই-বাছাই করে এনসিটিবি চূড়ান্ত পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু করবে বলে জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা হলো বৈষম্য দূর করার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। এই খাতে জনসম্পৃক্ততা ও শিক্ষক সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, “যারা সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন, তাদের মতামতের ভিত্তিতে পাঠ্যবইয়ের কনটেন্ট তৈরি করা উচিত। একেবারে লাইন বাই লাইন যাচাই করে ধাপে ধাপে উন্নয়ন করতে হবে।” তিনি গণিত ও রসায়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভার্সন ব্যবহারের ওপর জোর দেন।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান সভায় জানান, ইতোমধ্যে কিছু বইতে আংশিক পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং বাকিগুলো নিয়েও কাজ চলছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, “প্রতিটি বই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিভিউ করতে হবে। পুনঃপর্যালোচনার জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি থাকা আবশ্যক।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম দস্তগীর কাজী বলেন, “ইংরেজি টার্মগুলোর যথাযথ ও বাস্তবভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।”
সভায় বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক ও কারিগরি বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।