বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের বলি বাংলাদেশ, বৈশ্বিক সহায়তা না পেয়ে নিজেদের ওপর ভরসার তাগিদ উপদেষ্টার

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “বিশ্বের ধনী দেশগুলো বিপুল পরিমাণ কার্বন নির্গত করলেও, এর ভয়াবহ প্রভাব বহন করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে, যাদের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে অবদান মাত্র ০.৪ শতাংশ।” তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হলেও প্রতিশ্রুত আন্তর্জাতিক সহায়তা বাস্তবে পাওয়া যায় না।

আজ বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর থ্রিডি হল রুমে অনুষ্ঠিত “দুধ ও গরু পালন কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য এবং আইপিসিসির টায়ার-২ ভিত্তিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন পরিমাপ—এলডিডিপি হস্তক্ষেপের প্রভাব” শীর্ষক এক যাচাইকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হওয়ায়, নিজেদের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি জানান, প্রাণিসম্পদ খাতে আন্তর্জাতিক জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের অবস্থান আরও জোরালো করতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ খাতের প্রোটিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই গবেষণানির্ভর ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে মাংস উৎপাদনের পাশাপাশি মিথেন গ্যাস নির্গমন কমানো যায়।” তিনি মাঠপর্যায়ের তথ্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করে গবেষণার মান উন্নত করার ওপর কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:

কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওচুন শি, এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র কৃষি অর্থনীতিবিদ ও টাস্ক টিম লিডার আমাদু বা। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এলডিডিপি প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন। প্রকল্পের উদ্দেশ্য, সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরেন চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী।

এই কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এবং বিশ্বব্যাংক।