শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি: আলোচনায় বসছে মন্ত্রণালয়, দাবি বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলন চলবে

ঢাকা, ২৯ মে ২০২৫

টানা তিন দিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করলেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা। ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে চলমান এই আন্দোলনের ৩য় দিনে এসে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে শিক্ষক নেতাদের দাবি—বৃহস্পতিবার আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা দেশের প্রায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। তাদের দাবিগুলো হলো—সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করা।

সংগঠনের নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ জানিয়েছেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলোচনার জন্য আমাদের কাছে একটি প্রতিনিধি দলের তালিকা চেয়েছে। উপদেষ্টা পর্যায়ে বৃহস্পতিবার আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

এদিকে মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, “গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে তা সবার সঙ্গে শেয়ার করা হবে।”

মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মবিরতির ফলে অধিকাংশ বিদ্যালয়েই পাঠদান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে এলেও শুধুমাত্র খেলা-ধুলা বা অলস সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরছে। শিক্ষকদের মতে, এই অচলাবস্থা দ্রুত নিরসনের জন্য সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন।

প্রায় সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষক কর্মবিরতিতে থাকায় এক কোটিরও বেশি কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে। অনেক বিদ্যালয়ে অভিযোগ উঠেছে, কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া শিক্ষককে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং কোথাও কোথাও প্রতিবন্ধকতার কথাও উঠেছে।

উল্লেখ্য, দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষক কর্মরত আছেন। প্রধান শিক্ষকদের বেতন বর্তমানে ১১তম গ্রেডে হলেও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে বেতন। এই বৈষম্য দূর করে ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

দাবি মানা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ঐক্য পরিষদ।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন